লিডারশীপের একটি বড় অংশ হচ্ছে আপনার অধীনস্থদের দায়িত্ব দিয়ে সঠিক পথে পরিচালনা করা । এটি আপনি দুইভাবে করতে পারেন । সারাক্ষণ ধাক্কা দিয়ে দিয়ে করতে পারেন অথবা সামনে থেকে মোটিভেট করেও করতে পারেন। কার্যোদ্ধার নিয়া কথা । কীভাবে কাজটা হল ,সেটা আপনার বস বা কোম্পনি হয়তো আপনাকে জিজ্ঞেস করবে না। কিন্তু, কাজে ব্যর্থ হলে, তদন্ত শুরু হয়ে যাবে।

আমি কেন জানিনা , পিছন থেকে ধাক্কা দেওয়ার চেয়ে সামনে থেকে লিড করায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি।
এবং আমার উচ্চপদস্থ কেউ আমাকে যখন পিছন থেকে অনাবশ্যক ঠেলা বা ধাক্কা ; আমি ব্যাপারটা নিতে পারি না। কেনরে ভাই, তুমি তো দেখিয়েই দিলেই পারো কীভাবে কাজটা করা যায়। যেহেতু আমি একজন শিক্ষিত লোক , না বোঝার তো কিছু নেই।

উদাহরণ দিই।
বিভিন্ন লোক বিভিন্ন সময়ে তাঁদের গাড়ীতে আমাকে লিফট দিয়েছেন। সিংহভাগ ক্ষেত্রে দেখেছি, ড্রাইভার বেচারা নিজের মতো গাড়ী চালাতে পারে না। সারাক্ষণ ত্রস্ত থাকে পিছন থেকে মালিক কখন কী বলে।
আমি নিজে যখন ড্রাইভ করি, আমি আশা করি আমার সহযাত্রী এবং আমার পিছনে বসে থাকা কেউ আমাকে গাড়ি চালানোর সময় শুধুশুধু যেন ডিরেকশন না দেয়। এই একই জিনিষ আমি আমার ড্রাইভারের সাথেও করি। আমি যেহেতু, বিশ্বাস করে স্টিয়ারিং এ তোমাকে বসানো হয়েছে, কারণ নিশ্চয়ই তোমার গাড়ী চালানোর ট্রেনিং আছে। আর ড্রাইভিং সীটে বসার আগেই তোমাকেতো আমি বলে দিয়েছি, গাড়ি কোন রাস্তায় আর কিধরণের গতিতে চালাবে।
এখন যদি, প্যাসেঞ্জার সিটে বসে বসে আমি সারাক্ষণ ড্রাইভারকে ডিরেকশন দিই , আস্তে আস্তে আস্তে, জোরে জোরে , ডানে না বাঁয়ে—তাইলে তো ড্রাইভার বেচারার মুশকিল !
স্টিয়ারিং এ বসার পর গাড়ী এবং রাস্তাই আপনাকে ঠিক করে দিবে আপনি কী গতিতে চালাবেন।
ওয়েল, একজনের ড্রাইভিং এর সাথে আরেকজনের ড্রাইভিং মিলবে না কোনোদিনও ! এটা মেনে নিয়েই তো তাঁকে আপনি স্টিয়ারিং দিছেন। তার ড্রাইভিং পছন্দ না হলে , তাকে বাদ দেন। আরেকজন রাখেন বা নিজেই চালান।
জীবনের সবক্ষেত্রেই আমার এই মানসিকতা। আমি জানিনা এই মানসিকতা কীভাবে আমি পেয়েছি। কিন্তু, এটি আমার মজ্জাগত হয়ে গেছে।

প্রথম প্রকাশঃ১৪ই এপ্রিল ২০১৩