কয়েকজন অগ্রজ, সহকর্মী বা অধীনস্থদের চলতি কোন আলোচনায় অংশ নেবেন কি নেবেন না, সেটা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বেছে নেওয়া ভাল। আমার করপোরেট জীবনে এমন অনেকবার হয়েছে, কয়েকজন সমবয়সী সহকর্মী একটা কিছু নিয়ে কথা বলছি, হাসাহাসি করছি, হুট করে আমার কোন ঊর্ধ্বতন এসে যে কোন একটা শব্দ ধরে আমাদের আলোচনায় ঢুকে গেলেন। অথবা জিজ্ঞেস করলেন , কি ব্যাপার কি নিয়ে আলোচনা করছেন ? মুশকিল হচ্ছে, যুবাবস্থায় ও করপোরেট চাকুরেরা চা-পানের বিরতিতে হয় চিরন্তন নারীদেহ , যৌনতা অথবা কোম্পানির কোন অনিয়মের ব্যাপারে কথা বলে। এখন ঊর্ধ্বতন কেউ জিজ্ঞেস করে ফেললে উত্তর দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকে ! সেই সময়ে, আমাদের মধ্যে হাজির জবাব দেওয়ার ক্ষমতা যার ভালো সে ধুনফুন কিছু একটা বলে ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেওয়াতো। বস-কে তো আর বলা যায় না, আমরা মাধুরী দীক্ষিতের দেহবল্লরী বা ‘বে ওয়াচ ’ নিয়ে আলোচনা করছিলাম।

আমার স্বল্প অভিজ্ঞতায় কয়েকজন বসের মধ্যে মাত্র একজনকে পেয়েছি, যার চলতি আলোচনায় অনাবশ্যক অনুপ্রবেশের পরিমিতি বোধ ছিল। আর বেশিরভাগ ঊর্ধ্বতনদের এই ব্যাপারে পরিমিতিবোধের অভাব আছে। পরিস্থিতি না বুঝে হুট করে আরেকটি আলোচনায় ঢুকে পড়তেই পারেন যে কোন ঊর্ধ্বতন। কিন্তু সেটা যে প্রায়শ: বিশ্রী পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে, সেটা তাঁরা ভুলে যান।

হ্যাঁ, উচ্চকিত কণ্ঠে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, ঢুকে পড়ুন, আপনার মতামত দিন। তামিম ইকবালের খেলার সমালোচনা করুন। কিন্তু মাঝারি বা নিচু কণ্ঠের আলোচনায় অনুপ্রবেশ করার আগে পরিমিতিবোধ দেখানো উত্তম।

প্রথম প্রকাশ: ১৮ই জানুয়ারি,২০১৭