শরীরটা আজ ক্লান্ত ভারি,
ক’রছে গা ম্যাজম্যাজ,
ঠিক করেছি বিশেষ কিছুই
খাব না তাই আজ।
সকাল বেলায় চায়ের সাথে-
গামলা খানেক মুড়ি
তেল,লঙ্কা মাখিয়ে,
সাথে পেঁয়াজি,ফুলুরি।
সকাল, ধরো নয়’টা নাগাদ,
থাকলে মুখে রুচি,
খেতে পারি ঘি-য়ে ভাজা
গণ্ডা দশেক লুচি।
সঙ্গে আলু, বেগুন ভাজা,
আচার, আলুর দম,
রসগোল্লা গোটা বিশেক,
লাড্ডু ও চমচম।
দুপুরেতে কি আর খাব ?
শরীর ভাল নয় !
ভাতের সাথে কাতলা মাছের
টুকরো গোটা ছয়।
কচি পাঁঠার মাংস কষা
বড় দু-চার বাটি,
মিষ্টি দই আর চাটনি হ’লে
চলবে মোটামুটি।
বিকাল বেলায় খাব না হয়
আপেল, খেজু্র, কলা,
গোটা পাঁচেক ডাবের জল,
আর অঙ্কুরিত ছোলা।
সন্ধ্যাবেলায় চায়ের সাথে,
প্রন কাটলেট, ফ্রাই,
এর বেশী আর খাবো না,পেট
খালি রাখা চাই।
রাত্রি বেলায় গুরুভোজন
আজ তো আমার মানা,
খাবো দুধের ক্ষীর মেখে ওই
রুটি পঁচিশ খানা।
সঙ্গে সরেস ছানার পায়েস
রাবড়ি আধা কিলো,
শরীর খারাপ,এর বেশী কি
খেতে পারি বলো ?
শরীরে আজ পাচ্ছি না জুত,
নাড়ীর গতি ক্ষীণ,
অল্প এমন খেয়েই কাটুক
আজকে সারা দিন।
এমনিতে ও খাওয়া আমার
কম-ই একেবারে,
পেটুক মানুষ দেখলে আমি,
লজ্জাতে যাই ম’রে।।
[“আজকে আমার শরীর খারাপ” ছড়াটি আমি ২০১৪ সালের ৮ ই অক্টোবর প্রথম লিখে সমস্ত গ্রুপগুলোতে পোষ্ট করেছিলাম
।লিঙ্ক:
https://m.facebook.com/groups/coochbeharsp/permalink/10152675210271066/
তারপরে ২০১৯ সালে কবিতাটি সংস্কার করে রিপোষ্ট করার পর থেকেই নানা বিপত্তির শুরু। প্রথমে কিছুদিন ছড়াটি বিভিন্ন লেখা চোর আমার নাম বাদ দিয়ে তাদের নামে বিভিন্ন গ্রুপে পোষ্ট করেন।তখন এই নিয়ে অনেক পোষ্ট দিয়েছি এবং আপনারা সবাই তা দেখেছেন।তারপরে কিছুদিন ছড়াটি হোয়াটস অ্যাপে সংগৃহীত বলে পরস্পরের মধ্যে চালাচালি হয়। এতটুকুও মানা যায়। কিন্তু সম্প্রতি কিছু অসাধু ব্যক্তি ছড়াটি অজ্ঞতার কারণে অথবা বিশেষ উদ্দেশ্যে হোয়াটস অ্যাপে ও ম্যাসেঞ্জারে শিবরাম চক্রবর্তীর লেখা বলে প্রচার করছেন। কয়েক জনকে দেখলাম তা আবার শিবরাম চক্রবর্তীর লেখা কবিতা বলে আবৃত্তি করে তা আবার জন মাধ্যমে পোষ্ট ও করেছেন।
এখন আবার দুই তিন বৎসর ধরে দেখছি সুকুমার রায়ের জন্মতিথি এলেই ঐ একই ছড়া সুকুমার রায়ের লেখা বলে হোয়াটস অ্যাপে বা ফেসবুকে আদান প্রদান হচ্ছে। সুকুমার রায় সমগ্র বা শিবরাম চক্রবর্তী সমগ্ৰ যারা পড়েছেন,তারা কোথাও তাদের প্রকাশিত কোন গ্রন্থে এই ছড়াটি দেখাতে পারবেন? অথচ হোয়াটস অ্যাপ ও ফেসবুকের কল্যাণে এখন লেখাটি যেভাবে প্রচারিত হচ্ছে,তাতে আমার প্রমাণ করা দুঃসাধ্য যে ছড়াটি আমার লেখা।বরঞ্চ আমাকেই হয়তো কেউ কোনদিন ফেসবুকের রেফারেন্স দেখিয়ে লেখাচোর সাব্যস্ত করে বসবেনা,এর কোন গ্যারান্টি নেই। তাই সকল বন্ধুদের কাছে নিবেদন,এই রকম ঘটনা চোখে পড়লেই আপনারা তার প্রতিবাদ জানাবেন। সকলের ভুল ভাঙ্গাতে আমার লেখা ছড়াটি পুনরায় সকল গ্রুপে রি-পোষ্ট করলাম]
●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●
আজকে আমার শরীর খারাপ
***************************
শরীরটা আজ ক্লান্ত ভারি
ক’রছে গা ম্যাজম্যাজ,
ঠিক করেছি বিশেষ কিছুই
খাব না তাই আজ।
সকাল বেলায় চায়ের সাথে
গামলা খানেক মুড়ি,
সাথে গরম চপ,বেগুনি,
পেঁয়াজি,ফুলুরি!
সকাল ধরো নয়টা নাগাদ
থাকলে মুখে রুচি,
খেতে পারি ঘি-য়ে ভাজা
গণ্ডা দশেক লুচি!
সঙ্গে আলু,বেগুন ভাজা,
আচার,আলুর দম,
রসগোল্লা,গোটা বিশেক
লাড্ডু ও চমচম!
দুপুরেতে কি আর খাব?
শরীর ভাল নয়!
ভাতের সাথে কাতলা মাছের
টুকরো গোটা ছয়।
কচি পাঁঠার মাংস কষা
বড় দু-চার বাটি,
মিষ্টি,দই আর চাটনি হ’লেই
চলবে মোটামুটি!
বিকাল বেলায় খাব না হয়
আপেল,খেজু্র,কলা,
গোটা পাঁচেক ডাবের জল
আর অঙ্কুরিত ছোলা।
সন্ধ্যাবেলায় চায়ের সাথে
প্রন কাটলেট,ফ্রাই,
এর বেশি আর খাবো না পেট
খালি রাখা চাই!
রাত্রি বেলায় গুরুভোজন
আজ তো আমার মানা,
খাবো দুধের ক্ষীর মেখে ওই
রুটি পঁচিশ খানা!
সঙ্গে সরেস ছানার পায়েস
রাবড়ি আধা কিলো,
শরীর খারাপ,এর বেশি কি
খেতে পারি বলো?
শরীরে আজ পাচ্ছি না জুত,
নাড়ির গতি ক্ষীণ,
অল্প এমন খেয়েই কাটুক
আজকে সারা দিন।
এমনিতেও খাওয়া আমার
কমই একেবারে,
পেটুক মানুষ দেখলে আমি,
লজ্জাতে যাই ম’রে!
******************************
সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি
******************************
প্রিয় সমর কুমার সরকার, নানা ব্যস্ততায় আপনার মন্তব্যের প্রত্যুত্তর দিতে পারি নি। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ফেসবুক এসে একমাত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্যতীত সকলের কপিরাইটের বারোটা বেজে গেছে। কোভিড মহামারীতে আরেকজনের কবিতা, জীবনানন্দ দাশের নামে চলেছে। লোকজনতো আর এখন বই-পুস্তক কম পড়ে। সবাই হোয়াটসঅ্যাপ আর ফেসবুকের তথ্যনির্ভর হয়ে গেছে। আপনার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আমি কবির নাম পরিবর্তন করে দিয়েছি।
আপনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারলে খুশি হব। আমার এই ব্লগে আমি নিজেও নিয়মিত নই। আপনি গুগল সার্চ করে আমার ওয়েবসাইটে মন্তব্য করেছেন বলে আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।