ইদানীং অগ্রজদের চেয়ে অনুজদের কাছ থেকে বেশী শিখতে হচ্ছে । এই নতুন করে খুঁজে পাওয়া অব্‌জার্ভেশনটি বছরখানেক আগে এক অনুজের কাছে শেখা। সে আমার কিছু ‘নির্বোধ’ কর্মকান্ড দেখে সৎ উপদেশ দিয়েছিল । নিজে এটা রিলিজিয়াসলি মেনে চলে ; আমিও মেনে চলার চেষ্টায় আছি।

আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে বা কাজে আপনার দক্ষতাকে পরিপার্শ্বিকের চেয়ে ভালো মনে করেন ; মানে সোজাকথায় নিজেকে এক্সপার্ট মনে করেন– তাহলে আপনার এক্সপার্ট অপিনিওন আপনার কোম্পানিকে যখন তখন দিতে যাবেন না। মনে রাখবেন আপনার ঊর্ধ্বতন এবং মালিকপক্ষ অনেকসময় অযথাই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। অযাচিত শুভাকাংখা দেখে আপনাকে উল্টো বোঝানোর চেষ্টা করবে , ‘ তোমার মতো হরিদাস পাল ছাড়াই আমরা ব্যবসা এতোদূর নিয়ে এসেছি হে ! সুতরাং তোমার এই সব কথাবার্তা পকেটে পুরে রাখো !’

এমন হতে পারে, আপনার পূর্ব-অভিজ্ঞতা আছে বলে একটা সমস্যার খুব সহজ সমাধান আছে আপনার কাছে। সমস্যাটা আপনার চোখের সামনে হচ্ছে। উত্তরটাও আপনার ঠোঁটের আগায়। ‘ক্ষেত্রবিশেষে’ কেউ যেচে এসে না চাইলে সমাধানটা বাৎলে দিয়েন না।অপেক্ষা করুন।

পজিটিভলি দুইভাবে পরিস্থিতি উপকৃত হবেঃ-
প্রত্যক্ষ ভাবে–আপনার ঊর্ধ্বতন, সতীর্থ বা অনুজ সহকর্মীদের ব্রেইনস্টর্মিং হবে ; তাঁরা সমাধানের নানারকম বিকল্প চেষ্টা করবে, একটা লার্নিং প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যাবে। এতে একাধারে — তাদের ,নিজেদের , আপনার ও প্রতিষ্ঠানের উপকার হবে।
আর পরোক্ষভাবে—আপনি অযাচিতভাবে এক্সপার্ট অপিনিওন দিলে সেটার মূল্য পাওয়ার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায় ! সঠিক বিনিময়মূল্য ছাড়া এক্সপার্ট অপিনিওনের যে দাম নেই সেটা আমার ৯০ সালে ইন্টারমিডিয়েটে পড়ার সময়েই বোঝা উচিৎ ছিল! আমার স্বল্পমেয়াদী প্রাইভেট টিউশনির জীবনে যাদেরকে টাকার বিনিময়ে পড়িয়েছিলাম, তাঁরা সবাই আমার চেয়েও সফল হয়েছে। আর বিনামূল্যে আত্মীয়স্বজন ছোট ভাইবেরাদরকে পড়িয়ে কোন লাভ হয় নাই !

প্রকাশকালঃ সেপ্টেম্বর, ২০১৬