আমাদের কয়েক গ্রাম পরেই সাঁইজি লালন ফকিরের ছেউড়িয়া আখড়া। কিছুটা বাউলিয়ানা আমাদের পরিবারের সকলের মাঝেই ছিল। আব্বা সেই অর্থে প্রথম জীবনে খুব ধর্মপরায়ণ ছিলেন না। শেষ বয়সে এসে যতোটুকু করতে হয় করেছেন। উপলব্ধিটা সেই অর্থে আমার পিতার কাছ থেকে আমার ভিতরে প্রবাহিত হয়েছে।

তিনি বলতেন , মানুষে মানুষে ও জীবজগতের ভেদাভেদ ও বৈষম্য স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা করেছেন। এমনকি শেষ বিচারের দিন ৭০ কাতার করেছেন। সাত দোজখ আর আট বেহেশত করেছেন। ক্ষেত্র বিশেষে কিছু মানুষের বঞ্চনায়, দুর্ভাগ্যে, তাঁদের অসাম্যে, অপ্রাপ্তিতে মন খারাপ করতে মানা করতেন। সুতরাং জগতের সকল অসাম্য দূর করার ভার আমাকে না নিলেও চলবে।