আমি সেই অর্থে কর্মঠ বা পরিশ্রমী লোক নই। এবং সম্ভবত: আলস্য থেকেই আমার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে অনুৎসাহ আছে। তাই যখনই সুযোগ পেয়েছি, অফিসে ও পরিবারে নির্দিষ্ট কিছু দায়িত্ব পরবর্তী প্রজন্মকে হস্তান্তর করেছি।
যে কাজ আমি অনেকদিন করার পরে একটা দক্ষতা অর্জন করেছি, খুব ভালোভাবে পারি, রোজ রোজ সেই একই কাজ কেন করব– সেটা আমার মাথায় ঢোকে না। কর্মস্থলে আমার অনেক দায়িত্ব নির্দিষ্ট সময় পর আমার অনুজ কর্মকর্তাদের ডেলিগেট করেছি। আমি অন্যকিছু নিয়ে ব্যস্ত থেকেছি।

যদিও আমাদের প্রাইভেট সেক্টরে এই ডেলিগেশনের সুফল ও কুফল দুইই আছে।
আমার ভিতরে শিক্ষক-সুলভ কিছুটা ঔদার্য আছে বোধকরি। শিক্ষকরা যে তাঁদের অর্জিত জ্ঞান ছাত্রদের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে আনন্দ পান। শিক্ষকরা জানেন একজন ছাত্রকে সমস্ত শিক্ষা বিলিয়ে দিলেও তাঁর কোন ক্ষতি নেই, কারণ ছাত্রটি কখনো তাঁর প্রতিযোগী হবে । আমিও তাই করেছি, কখনও ভাবিনি, আমার জুনিয়র কর্মকর্তাকে সবকিছু ডেলিগেট করলে, তাঁকে আরো স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে কাজ করতে দিলে সে আমার প্রতিযোগী হবে। মুশকিল হচ্ছে, আমি এভাবে ভাবিনি , কিন্তু আমার মালিকপক্ষ ও কয়েকজন অনুজ আমার বদান্যতার সুযোগ নিয়েছেন। কিন্তু এতে করেও এতোগুলো বছর পরেও আমার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি।