মানুষকে বিশ্বাস করুন ; সামান্য দ্বিধা ও সঙ্কোচ নিয়েই করুন।
অসঙ্কোচ বিশ্বাসে আপনি ঠকে গেলে বড় ধরণের ধাক্কা খাবেন, হয়তো ভেঙ্গে পড়বেন, উঠে দাঁড়ানো মুশকিল হবে। আমার কাছে মনে হয়, বিশ্বাস করতে হলে, নিজের ভিতরে কিছুটা অবিশ্বাস নিয়ে করাই উত্তম।

একটা উদাহরণ দিই।
শহর ঢাকার অগণিত ভ্রাম্যমাণ ভিক্ষুকদের বিশ্বাসযোগ্যতা নাই। শহরের অর্ধেক ভিক্ষুক সত্যিকারের ভিক্ষুক নাকি, পরিযায়ী, ভ্রাম্যমাণ, অলস, অকর্মণ্য, ধান্ধাবাজ –সে ব্যাপারে সকলেরই সন্দেহ আছে। রাস্তার ভিক্ষুকদেরকে ভিক্ষা দিতে আমার
নিজেরও অনীহা আছে। এরা এমনভাবে আপনাকে বেহেশতের লোভ দেখাবে অথবা দোজখের ভয় দেখাবে যে, সেই লোভেই হোক বা ভয়েই হোক আপনি ভিক্ষা দিয়ে পরকাল সামলাবেন। কোন কারণে, ভিক্ষা দিতে আপনি অস্বীকৃতি জানালে, আপনাকে ক্রমাগত বিরক্ত করতে থাকবে, আপনার গাড়ি ধাক্কা দেবে, অভিসম্পাত করতে থাকবে।

আমি পারতপক্ষে রাস্তার ভিক্ষুককে ভিক্ষা দিই না ; আবার কাউকে ভিক্ষা দিলেও চিন্তা করিনা, ‘সত্যিকারের’ ভিক্ষুক কীনা। সেই একইভাবে , অনেকেই নানা সময়ে ছোট অংকের ধার চেয়েছে, যেটা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তাঁদেরকে সাহায্য বা ধার দিলেও ধরে নিয়েছি, সেটা আর কখনো ফেরত পাব না। ফেরত পেলে খুশী হয়েছি। তাঁদের সঙ্গেই বড় অংকের আর্থিক লেনদেনে গেছি, যাঁদেরকে দীর্ঘদিন ধরে আমি চিনি।