নিজের সঙ্গে নিজে ও নিজের পরিবারের সঙ্গে সবসময় সৎ থাকতে হয়। পরিবারের প্রতি আপনি যেমন সহানুভূতিশীল,অসীম মমত্ববোধ করেন; নিজের প্রতিও একই রকম মমতা, সমঝোতা ও থাকা দরকার। এই অন্যায্য পৃথিবীতে বেশিরভাগ মানুষকে সারাক্ষণ পরিবেশ প্রতিবেশের সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়। বাইরের প্রতিকূলতার সঙ্গে যুদ্ধ করতে হলে, আপনার যে শক্তি দরকার তার শক্তিমত্তা নির্ভর করবে আপনার নিজের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক কেমন তা এবং আপনার নিজের পরিবার,বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানদের সম্পর্ক কেমন তার উপর। নিজের পরিবারে সঙ্গে দূরত্ব ও অসমঝোতায় যে পরিমাণ শক্তিক্ষয় হবে, বাইরের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য শক্তি অবশিষ্ট থাকবে না।
আমি যে কোন পরিস্থিতি—সে হোক চাকরি বা ব্যবসায়িক জীবনের ব্যর্থতা, অপ্রাপ্তি, বঞ্চনা সবকিছু একসময় আমার জন্মদাত্রীর সঙ্গে আর পরে অবলীলায় সহধর্মিণীর সঙ্গে শেয়ার করি। বহুবার এমন অনেককে পেয়েছি, চাকরি হারিয়ে নিজের পরিবারে সঙ্গে দিনের পর দিন অভিনয় করে চলেছেন। অন্য সব দিনের মতো সকালে অফিসের পোশাক পরে বের হয়ে সন্ধ্যায় ঘরে ফিরেছেন। আমি তাঁদেরকে বলেছি, যুদ্ধটা আপনি একা করছেন কেন? আপনার পরিবারে জন্য আপনি জীবন সর্বস্ব করছেন, তাদের সঙ্গে কেন অভিনয় করছেন ? আপনার জীবনের প্রতিকূল অবস্থাতো চিরস্থায়ী নয়। এই যুদ্ধে আপনি তাদেরকেও সামিল করুন। ঘরে ও বাইরে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে করে নিজে নিঃশেষ করার কোন মানে হয় না। বিশ্বাস করেন, অনেকে ফিরে এসে আমাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন আমার ওই সৎ পরামর্শটুকুর জন্য।
সাম্প্রতিক মন্তব্য