হে নবীন প্রজন্ম !

কানে হেডফোন দেওয়া অথবা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকা কিশোর বা কিশোরী, তোমাকে বলছি !

হ্যাঁ হ্যাঁ, তোমাকেই বলছি !
বাইরে তাকাও।
রূপ-রস-বর্ণ-গন্ধের অসম্ভব সুন্দর এই পৃথিবীর চারপাশ তাকিয়ে, শুঁকে, শুনে ,চেখে উপভোগ করো। পৃথিবীটাকে ওই কয়েকটা গানের ও অ্যাপ্‌সের ভেতরে সীমাবদ্ধ কোর না !
ইন্টারনেট ও ফেসবুকের ভার্চুয়াল জগতটাকেই সব ভেবে নিও না।

বাইরে তাকাও, বই পড়ো, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দাও, বাবা-মার সাথে গল্প করো। ছোট ভাইটাকে দুইটা ম্যাথ দেখিয়ে দাও। ছোট্ট বোনটাকে বলো, ওকে এই নতুন জামায় অনেক সুন্দর লাগছে!
আবারো বলি, পৃথিবী অনিঃশেষ সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে অপেক্ষা করে আছে তোমার জন্য।

নিজেকে বঞ্চিত কোর না !

কর্পোরেট অব‌জার্ভেশন ( চাকরি ভালোবাসার সহজ পদ্ধতি )

আজ সকালে আমার প্রাক্তন বসের কাছ থেকে মেসেজ পেলাম।
উল্লেখ্য, তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক দুর্দান্ত বন্ধুসুলভ। কিন্তু এতো কঠিন সত্য, নিদারুণ বাস্তবতা –কেউ এইভাবে বলতে পারে? এই অব্‌জার্ভেশনে আমি মুগ্ধ !

1. If you don’t love your job, take a home loan; you’ll start loving it.
2. Take another loan; you will start loving your boss as well.
3. Get Married… You will start loving your office too.

মানুষের বুঝি অনেক জমির দরকার।How Much Land Does a Man Need

আমার বৈষয়িক সম্পদের ও সম্পত্তির পরিমাণ স্বল্প ! কিছু টাকা জমলেই , একটা না একটা বড়ো বিপদ বা ঝামেলা এসে হাজির হয়। নিজের কাছে টাকা আছে অথচ পরিবারের কারো বিপদে আমি সেটা খরচ করছি না, এটা আমাকে দিয়ে হয় না। আমার খুব কাছের বন্ধু-বান্ধবরা এগুলো জানে। সংসারের সম্পত্তি বৃদ্ধিতে আমি অ-বৈষয়িকই থেকে গেলাম।

যাক ! চল্লিশের পরে উপভোগ্য জীবন আর কতদিনের যে , উঞ্ছবৃত্তি করে জমিজমা ফ্ল্যাট করে যেতেই হবে। নইলে জীবনটা বার্থ! আমার মনে হয়, আমি এমন কিছু মূল্যবোধের বা ভ্যালুজের মধ্যে মানুষ হয়েছি, যে ওই মূল্যবোধ বজায় রাখতে গিয়ে আমাকে সারাক্ষণ একটা আর্থিক টানাটানির ভিতরে থাকতে হয়। এটা নিয়া আমার সহধর্মিণীর আফসোস আছে। এখন আবার দুই কন্যার নিরাপত্তার কথা বলে ভয় দেখায় আমাকে। গতস্যশোচনা নাস্তি। তেমন লাভ হচ্ছে না ! দীর্ঘ কর্মজীবনে অফিস থেকে ইনসেন্টিভ বা ওইরকম গালভরা নামের কিছু পেয়েছি মাত্র দু একবার । তাই দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ছোট্ট একটা ‘পূর্বাচল চান্দের দেশ’ টাইপ এক জায়গার শেয়ারে আছি। এটাও করছি বউয়ের চাপে, আর আমার দুই কন্যা যাতে পরবর্তী জীবনে আমারে গালিগালাজ না করে। বাকীটা সময়ই বলে দেবে !

সম্পত্তির নিদারুণ অভাবে নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার কৌশল কীভাবে যেন বের করে ফেলেছি। সম্পত্তির কথা উঠিয়ে আমার আফসোস জাগানো লোকজনকে লিয়েফ্‌ তল্‌স্তোয় বা লেভ টলস্টয়-এর একটা গল্পের কথা মনে করিয়ে দিই। মানে আমাকে যখনই কেউ জমি কিনতে বলে, আমি এই গল্প নিজেকে নিজে শোনাই তাকেও শোনাই! আপনারা শুনতে চাইলে বলি ।

ওই যে, ‘How Much Land Does a Man Need’ বঙ্গানুবাদ ‘কতটুকু জমি দরকার?’ বা ‘ মানুষের বুঝি অনেক জমির দরকার’- নামের গল্পটা।

গাঁয়ের ভূমিহীন কৃষক পাখোম স্বপ্ন দেখত কিছু নিজের জমির । দশ বিঘা , বিশ বিঘা করে শ’ দেড়েক বিঘা। সস্তার জমির কথা শুনে দূরদেশে দশগুণ সম্পত্তি পেয়েও তা সামান্য ঠেকতে লাগলো। লোকমুখে সে শুনতে পেল বাশ্‌কির বা উরাল পার্বত্য এলাকায় সর্দারদের সামান্য উপহারের বিনিময়ে এখনকার চেয়ে হাজারগুণ সম্পত্তি উর্বর জমি পাওয়া যাবে।

ক্রমাগত সম্পত্তির লোভে সে এসে পৌঁছে সর্দারদের কাছে। সামান্য উপহারের বিনিময়ে সর্দাররা রাজী হয় দিগন্ত বিস্তৃত উর্বর জমি দিতে। জমির দাম দিনে একহাজার মুদ্রা । শর্ত একটাই। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে গোত্রপ্রধান একটা লাঠি পুঁতে দেবেন মাটিতে। এইবার জমির দাবীদারকে হাঁটা শুরু করতে হবে। সামনে আদিগন্ত ভূমি। কিন্তু সূর্যাস্তের আগেই পুঁতে দেওয়া লাঠির কাছে ফিরে আসতে হবে। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যতখানি জায়গা ঘুরে আসতে পারবে, সব জমি তাঁর নামে লিখে দেবেন ওই গোত্র প্রধানরা। সূর্য ডোবার আগে আগের জায়গায় ফিরে আসতে না পারলে টাকা ও জমি কিছুই পাবে না সে !

পাখোম হাঁটা শুরু করলেন, যত এগোয় ততোই ভালো সরেস জমি। আরেকটু আরেকটু করতে করতে দুপুর। তাঁর মনে পড়লো ফিরে যেতে হবে, দূরে পাহাড়ের ধারে গোত্রপ্রধানদের দেখা যাচ্ছে। জোরে হাঁটা শুরু করলো । বেলা ঢলে আসছে, আরো জোরে। সূর্যাস্ত হয় হয়। স্বপ্নজাল বুনতে বুনতে লোকটা দৌড়ানো শুরু করলো। আগের রাত্রে উত্তেজক নির্ঘুম রাত আর অনেক শ্রান্তির লোকটি প্রাণপণে দৌড়োতে লাগলো, সর্দাররা উৎসাহ দিচ্ছে এইতো আরেকটু । যখন সে পুঁতে রাখা লাঠিটার কাছে পৌঁছালো , পড়ে গিয়ে নিথর মৃত।
সবাই মিলে ওই জায়গাতেই কবর খুঁড়ল, মাথা থেকে পা পর্যন্ত ছ’ ফিট জমি।
সেইখানে তাকে শুইয়ে দেয়া হলো।
ওইটুকু জমিই তার প্রয়োজন ছিল !
অনেক আগে পড়া গল্পটা মাথায় এমনভাবে গেঁথে আছে। মনে হয় কী লাভ জমির পিছনে ছুটে ! আমি জানি আমার এই অ-বৈষয়িক উন্নাসিকতার চরম দাম আমার পরবর্তী প্রজন্মকে দিতে হতেও পারে। নাও পারে ! তাঁরা আমাকে গালিগালাজ করতেও পারে , নাও পারে!

যাই হোক জমির নেশা থেকে আমি মুক্ত !

প্রকাশকালঃ এপ্রিল, ২০১৩

কর্পোরেট অবজার্ভেশন ও বাঙালি চরিত্র

আমার বর্তমান কর্মস্থলের মালিক-পক্ষ ও প্রধান কার্যালয় সিংগাপুরে ।
বাংলাদেশীদের চরিত্রের একটা ব্যাপার নিয়ে প্রায়শ: আমার সাথে তাঁদের কথা হয়।

আমাদের সামাজিকতায় অধীনস্থ কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা সরাসরি ঊর্ধ্বতনকে কোন কথা বলতে পারে না। রুমে ঢুকে নানা রকম খাজুরালাপ করেন ; ত্যানা পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে শেষে এসে আসল কথা বলেন।

আমাকে একজন জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের সমস্যাটা কি, সরাসরি কেন আসল কথা বলতে পার না ? কেন অযথা সময় নষ্ট কর?’

আমি তাঁদেরকে বললাম, কেন –এটা আমিও বুঝি না। তবে এই অভ্যাস আমাদের মজ্জাগত। খাজুর করা ও ত্যানা প্যাঁচানো আমাদের জাতিগত বদভ্যাস !

প্রাসঙ্গিক ,অনেক আগে শোনা আমাদের পূর্ববঙ্গের একটা গ্রাম্য কাহিনী মনে পড়ে গেল।
চৈত্রের কাঠফাটা রোদে উঠানের দাওয়ায় বসে একলোক তামাক খাচ্ছে আর দা দিয়ে চেঁছে চেঁছে বেড়া তৈরির কাজ করছে।
ওই সময় এক পথচারী এসে পাশে বসলেন।
লোকটার পাশের ছেলেটা বলল , ‘আব্বা তুমার জন্যি আবার তামাক সাজা নিয়ে আসি।’
লোকটা বলল ‘যা সাজায়ে নিয়ে আয়।’
তো পথচারী ও ঘর্মাক্ত লোকের কথোপকথন অনেকটা এই রকম ছিল। স্মৃতি থেকে লিখছি।
পথচারী, ‘ভাই কি করতেছেন?;
তিরিক্ষি মেজাজে লোকটা খেঁকে উঠলেন, ‘দেখতেইতো পারতেছেন কি করতিছি।’
‘ভাই ওই যে ছাওয়ালটা তামাক সাজাতি গেল, সিডা কি আপনার ছাওয়াল ?’
‘আরে মরণ ! আমাক বাপ ডাইকলো কেবল, ওই ছাওয়াল আমার না তো কি আপনার?’
‘ভাই, এই বাড়ীডাও কি আপনের ?’
‘না , এই বাড়ী আমার না আপনার ! কি কতি চাচ্ছেন সুজা করে কনতো।’
‘না, মানে হাঁইটে যাচ্ছিলাম তো, ভাবলাম আপনার কাছ থেকে দুইটান তামাক খায়া যাই, একটু খাজুর করতিছিলাম আর কি।’
‘তামাক খাবেন সিডা সরাসরি কলিই তো হয়।’

তো আমাদের সিংহভাগ জনতাই ওই পথচারীর মতো। তামাক খাওয়ার কথা সরাসরি না বলে খাজুর করি, ত্যানা প্যাঁচাই।
এর মধ্যে স্বাভাবিক সৌজন্যের বিষয় আছে নিশ্চয়ই । কিন্তু এই গ্রাম্য-কাহিনী দিয়ে আমাদের বাঙালী চরিত্র যতো সহজে আপনারা বুঝবেন, আমার বিদেশী সহকর্মীদের সেটা বোঝানো সম্ভব না !

প্রবাসী ও শুভঙ্করের ফাঁকি

আমার প্রবাসী আত্মীয়-বন্ধুদের প্রতি সর্বোচ্চ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রেখে এই পোস্ট দিচ্ছি। কেউ এটাকে পারসোনালি নিবেন না, সেই আশা করতেই পারি।

বছর খানেক আগে এক কানাডা প্রবাসীর সাথে কথা হচ্ছিল। নানা কথার পরে সে যেটা বলল সেটা মনে দাগ কাটার মতো বলেই এখন পর্যন্ত মনে আছে।

কানাডা প্রতি বছর লক্ষাধিক এশিয়ান নিচ্ছে ইমিগ্রান্ট হিসাবে। ইদানীং শুনছি লাখ তিনেক ডলার ওখানকার ব্যাংকে রাখলে বা জয়েন্টভেঞ্চারে ইনভেস্ট করলে পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি কনফার্ম। ২০০১ সাল থেকে গড়ে প্রতি বছর প্রায় আড়াই লক্ষ থেকে তিন লক্ষ লোক কানাডা প্রবাসী হচ্ছে বিভিন্ন এশিয়ান দেশ থেকে। এইসব পশ্চিমা দেশগুলো গরীব-দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ নিজেদের অর্থনীতিতে পাম্প করে এঁদের প্রবৃদ্ধি বাড়াচ্ছেন।
আমি অর্থনীতিবিদ নই, ব্যক্তিগত হিসাবেও যথেষ্ট কাঁচা । তবু একটা সংক্ষিপ্ত হিসাব দেওয়ার চেষ্টা করি। ধরেন ২,৫০,০০০ ইমিগ্রান্ট X US$ ৩,০০০০০= US$ ৭,৫০০০০০০০০০.০০ মানে সাড়ে সাত বিলিয়ন ডলার ! এইবার আপনি ওইখানে পৌঁছানোর পর ওই উন্নত দেশের নানারকম সুবিধায় চমৎকৃত হতে থাকবেন, হতেই থাকবেন।

কেননা, আপনি তো গেছেন পৃথিবীর দরিদ্রতম দেশগুলোর একটি থেকে। আপনি রাস্তা দেখে , বাতি দেখে অবাক হবেন, করিৎকর্মা পুলিশের ভেঁপু শুনে অবাক হবেন। বহু শতবর্ষের লক্ষ লোকের ঘাম-রক্তের বিনিময়ে গড়া আমাদের চেয়ে শত বৎসর এগিয়ে থাকা সভ্যতার ঘি মাখন এয়ারপোর্ট থেকে নেমেই বিনা পরিশ্রমে আপনি ভোগ করা শুরু করবেন । । বাড়িতে আত্মীয় স্বজনের কাছে আর বন্ধু-বান্ধবের কাছে ফোন করে নানা রকম তুলনামূলক তত্ত্ব শোনাবেন আর আমাদের দীর্ঘশ্বাস শুনে বিমলানন্দ উপভোগ করবেন।

তবে আসল শুভঙ্করের ফাঁকি ব্যাপারটা অনেকে বুঝে ফেলেন কয়েকবছরের মধ্যে । আপনারই দেওয়া টাকাপয়সায় আপনার ওয়েলফেয়ার ইনস্যুরেন্স, গাড়ি বাড়ি লোনের হ্যাপায় ওই পশ্চিমা দেশ আপনাকে এমনভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়াবে , আপনি তখন ধোপার গাধা– না ঘরকা , না ঘাটকা! এই দুষ্ট চক্রের বাইরে আসতে পারবেন না। আপনি ও আপনার প্রিয় পরবর্তী প্রজন্ম ওই চক্করের ভিতরে থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়ে চীজ বার্গার খেয়ে দিনাতিপাত করবেন। যখন বুঝবেন, ততদিনে ওই দুর্ভেদ্য চক্র ভাঙ্গার সাহস বা সামর্থ্য দুইটাই অবলুপ্ত আপনার।

একইভাবে, নন প্রোডাক্টিভ কিছু দেশ আছে, যেমন যুক্তরাজ্য বা ইংল্যান্ড। লক্ষ লক্ষ ছাত্র প্রতি বছর বিলিয়ন ডলার এশিয়া থেকে নিয়ে যেয়ে ওই দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়াচ্ছে আর চক্করের ভিতরে পড়ছে।পড়ুক, আমার তাতে কোন আপত্তি নাই। আপনি দুধ বেচে তামাক খাবেন , নাকি তামাক বেচে দুধ খাবেন সেটা আপনার ইচ্ছা।
কিন্তু , আমার আপত্তি অন্য খানে!

কোন কোন প্রবাসী শুভাকাঙ্ক্ষী আমাকে ভিওআইপি সস্তা রেটে কল করে বা ফ্রী স্কাইপে, ভাইবারে, হোয়াটস অ্যাপে আধাঘণ্টা ধরে বাংলাদেশের ‘আম্লীগ বিম্পি’ নিয়া কচলা কচলি করে, আর বোঝানোর চেষ্টা করে আমরা কতিপয় ভোঁদাই আমজনতা আসলে গুপ্তকেশ উৎপাটন করছি । উপসংহারে বা গৌরচন্দ্রিকাতে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় , ‘দেশটার হচ্ছে টা কি?’

কেন জানি না তাঁদের ধারনা হয়েছে , বাংলাদেশে আমরা শুয়ে বসে আর টকশো দেখে দিনাতিপাত করছি। । আর দুই বরাহ শাবকের দলকে পর্যায়ক্রমে ক্ষমতায় এনে দেশের বারোটা বাজাচ্ছি। আমরাও যে ব্যস্ত জীবন কাটাচ্ছি, অফিসের টাইমে হুদা মিছা প্যাঁচাল না পেড়ে আমরাও যে , যে যার জায়গায় পরিশ্রম করে যাচ্ছি, এটা তাঁদের বোঝানো মুশকিল। মনে হয় দুনিয়াতে তাঁরাই শুধু ব্যস্ত আর আমরা শুধু গুপ্তকেশ উৎপাটন করে আঁটি বাঁধছি ! আগে মন দিয়ে শুনতাম বা হু হা করতাম, এখন বয়সের জন্যই কীনা জানিনা। এইসব বাল ও ছালের আলাপ শুনতে আর ভালো লাগে না!

ভাইরে, আপনি থাকেন আপনার পশ্চিমা দেশের ঘি মাখন জ্যাম জেলি নিয়ে ! এই বাংলাদেশের জন্য কে কী ছিঁড়ছেন আমরা তো কম বেশী জানি। কেন খামোখা গুচ্ছের সময় নষ্ট করে আমাদের অপরাধ বোধে ভোগাতে চান? দেশের এই অবস্থা আমরা কি একা করেছি ?

প্রকাশকালঃ মার্চ, ২০১৩