মেয়েদেরকে নিয়ে বাজারে বহুরকমের ঠাট্টা চালু আছে, তবে তার বেশিটাই নিষ্ঠুর
আমিও খান তিনেক জানি, যেমনঃ
যে মেয়ে সহজলভ্যা তাকে বলা হয় পাপোস
যে মেয়ের বুক নেই তাকে বলে ম্যানচেস্টার
যে মেয়েরা এক মাসের জন্য জীবনে আসে তাদের বলেঃ চায়ের খুরি
অর্থাৎ ইয়ুজ অ্যান্ড থ্রো।
যে মেয়ের বয়স হয়ে এল, যৌবন যাই যাই করছে, তাদের সম্পর্কে
এক অধ্যাপক বন্ধু বলেছিলঃব্যবহার করার আগে ঝাঁকিয়ে নেবেন।
এতো নিচু মাপের ভাষা শুনে আমার গা ঘিনঘিন করে
এ সবই ওই ব্রাহ্মণের প্রভাব, মনু নামে যিনি বিখ্যাত।
ছেলেদের সম্পর্কে ঠাট্টাগুলো তেমন জোরালো নয়
বড়জোর আমরা বলিঃ উওম্যানাইজর , অর্থাৎ আলুবাবু
মেয়েরাও ছেলেদের অনেক নাম দেয় যেমন, ঘুরঘুরে পোকা
হিন্দুস্তান পাকিস্তান
অর্থাৎ যার বাছবিচার নেই
এইসব ঠাট্টার ভেতর ছেলেদের প্রশ্রয় দেবার একটা প্রবণতা থাকে
সেই ঠাকুমার কথাঃ সোনার আংটি আবার ব্যাঁকা?
মেয়েদের নিয়ে বদরসিকতা আমার ভাল লাগে না।
আমি তিন দিদির সঙ্গে মানুষ হয়েছি, সুতরাং
মেয়ে বলতে আমি বুঝি নারী
তার ৩২-৩৬-৩২ আমার বিষয় নয়
সে হয়তো সুদূর কোন নৌকার ভেতর বসে অপেক্ষা করছে
সেই নৌকো কোথায় আমি জানি না
কিন্তু আমাকে সেখানে গিয়ে পৌঁছতেই হবে।
সূর্যাস্তের আগে আমি কি পারব তোমার সামনে গিয়ে দাঁড়াতে?
সাম্প্রতিক মন্তব্য