ডিপ্রেশন এলে মানুষ অহংকে হারিয়ে ফেলে ।তখন সে কেন বেঁচে আছে , কেন ঘুরে দাঁড়াবে , কেন জীবনকে তার আদৌ দরকার- সব বোধ সে খুইয়ে বসে।
আমাদের দেশে আমরা কিন্তু মানুষের উপর অসম্ভব অত্যাচার করি। কারণে-অকারণে তাদের ছোট করি। আমাদের স্কুলগুলোর অনেক শিক্ষক ছাত্রদের নানারকম শাস্তি দেন, অনেকসময় তাতে আত্মমর্যাদা পুরো নষ্ট করে দেন।
আমাদের স্কুলে এক স্যার ছিলেন, তাঁকে যদি ছাত্ররা কেউ কোনো প্রশ্ন করত , তিনি সঙ্গে সঙ্গে উল্টো প্রশ্ন করতেন –বাড়ি কোথায় ? ছাত্র যদি বলত- নোয়াখালী ; সাথে সাথে তিনি সর্বজ্ঞের হাসি হেসে মন্তব্য করে উঠতেন – ও ! এই জন্যই । সবাই হো হো করে হেসে উঠতো। আমাদের দেশে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে , পরিবারে, কর্মক্ষেত্রে প্রায় প্রত্যেকটা জায়গায় প্রতি মুহূর্তে মানুষকে ছোট করা হয় । ‘ তুই কে, তুই কী , তুই কেন, তুই কিছু না , তুই আসলে একটা … মানে তুই একটা তুই!’…এইসব কথাবার্তা সবখানে। তার ফলে আমাদের অধিকাংশ মানুষ যে যার জায়গায় ছোট হয়ে মরে থাকে।
বিশ্বের প্রতিটা এয়ারপোর্ট দিয়ে ভ্রমণ করে দেখবেন , নিজেকে রাজার মতো লাগবে। কিন্তু আমাদের এয়ারপোর্টে মনে হবে অন্যরকম। সবাই এমন চোখে তাকাবে যেন মনে হবে বলছে , কে ঢুকল রে … কী নিল রে … ধর রে … বাঁধ রে … । এমনই অপমান সবখানে।
” ভাঙ্গো দুর্দশার চক্র। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।।”
সাম্প্রতিক মন্তব্য