শৈশবের বইপড়ার অভ্যাস সেবা প্রকাশনী দিয়ে শুরু হয়েছিল। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র একটা পাঠ রুচি তৈরি করে দিয়েছে।
ছোটবেলায় যে কোন বই এক বসায় অথবা একটানা কয়েকদিনে শেষ করেছি। সমরেশ মজুমদার , সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ঢাউস আকৃতির বইগুলোর পাঠস্মৃতি মনে আছে। এখন বৃহদায়তনের বই পড়া শুরু করার আগে গেলে তিনবার চিন্তা করি। শুরু করলে কবে শেষ হবে ; আদৌ শেষ হবে কীনা কে জানে ! কয়েকটা বই একসঙ্গে শুরু করে , দেখা গেল কোনটাই শেষ না করে ফেলে রেখেছি।
গত কয়েকবছরের বইমেলায় কেনা বই পড়া হয়নি। বই পড়ার সেই প্যাশন জীবিকার চাপে চিঁড়েচ্যাপটা হয়েছে বহুবছর আগেই। জীবনে বই একমাত্র বিনোদন নয় আমাদের প্রজন্মের। অনলাইন সাহিত্য, ব্লগ, ফেসবুক এসে বইয়ের জায়গা দখল করেছে।
বড়কন্যার বইপড়ার অভ্যাস শুরুতেই আমার মধ্য-চল্লিশের মতো। একসঙ্গে কয়েকটা বই শুরু করে আর একেকটা একেক বেলায় পড়ে। আরেকটা বড় পার্থক্য হচ্ছে, সে পড়ে ইংরেজি ভাষার বই। আমি সারাজীবনে ইংরেজি নন-ফিকশন বই পড়েছি ঠ্যাকায় পরে সাকুল্যে হাতে গোনা কয়েকটি। আর বড়কন্যার স্কুলের পড়াশোনার মাধ্যম যেহেতু ইংরেজি ; ঐ ভাষাতেই ওর স্বাচ্ছন্দ্য বেশি।
আজ সকালে ওর পড়ার টেবিলে কী কী বই পড়ছে সেটা চোখে পড়ল।
আর নিজের শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল।
প্রকাশকালঃ ২রা জুলাই,২০২০
সাম্প্রতিক মন্তব্য