।। ১ ।।
ও … ওই বাড়ীর ছাদে একটি মেয়ে।
আর আমি একলা এখানে
আমার ব্যলকনির ডেক চেয়ারে।
মেয়েটি আমার দিকে ভুলেও কখনো তাকায় না।
কিন্তু আমি তাকালেই সে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
কী করে যে টের পায় কে জানে !
।। ২ ।।
একটা বয়েস এলেই নাকি ব্যর্থতাবোধ এসে যায়।
কিন্তু কেউ-কেউ আবার ব্যর্থতাবোধ নিয়ে জন্মায় ;
সে খুব ভাগ্যবান ।
সে কিছুই আশা করে না, কেননা তার পাবার কিছু নেইকো,
পাওনা নেই তার কোনোখানেই ।
(তবুও এই দুনিয়ার একেবারেরি কিছু না পেয়ে
শুধু হাতে যাবার কারো জো আছে নাকি ? )
তাই যখন সে যা পায় তাই তার কাছে অভাবিত ;
তাই তার কাছে পরমাশ্চর্য—পরমার্থ-উপায় !
কেননা কোনো কিছুর পরেই নেই তার কোনো দাবি তো ;
তাই একটুখানি বর্ষণেই তার ধূসর মরু প্লাবিত।
তাই সর্বদাই তার মনে হয় সে বুঝি ব্যর্থ হয়,
পড়ে-পাওয়া চৌদ্দ আনাই ত লাভ তার !
যদিও সেই চৌদ্দ আনার ষোলো আনাই ফাঁকি ।।
বর্ষ ৩৫ সংখ্যা ৭ । ২৯ অগ্রাহয়ণ ১৩৭৪। ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৬৭
সাম্প্রতিক মন্তব্য