বহুদিন আগে এক বাঘ জঙ্গল থেকে লোকালয়ে চলে এসে ধীরে ধীরে মানুষখেকো হয়ে গেল।
গ্রামবাসীরা ভয়ে অস্থির। সবাই একত্রিত হয়ে আলাপ-আলোচনা করছিল, কী করে এই অবাঞ্ছিত বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
এক সাহসী শিখ সর্দার গোঁফে তা দিয়ে, হাতের পেশী ফুলিয়ে বলল, ‘আমি একাই এই মানুষখেকো বাঘকে মারব।
আমাকে শুধু একটা গরুর ছাল এনে দাও। আর মনে রেখো ,আজ রাতে কেউ যেন বাইরে বের না হয়। তোমরা সবকিছু আমার উপর ছেড়ে দাও।’
তো , সেই রাতে গরুর ছদ্মবেশে শিখ সরদার বাঘের টোপ হিসাবে অপেক্ষা করতে লাগল।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাচ্ছিল ।
হঠাৎ গ্রামবাসী শুনল, কেউ গলা ফাটিয়ে আর্তনাদ করছে ।
সবাই শব্দের উৎসস্থলের দিকে ছুটে গিয়ে দেখতে পেল বাঘ মারতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ শিখ মাটির উপরে পড়ে আছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থান দিয়ে রক্তপাত হচ্ছে।
একজন তাকে জিজ্ঞেস করল, ‘কী ব্যাপার ? তুমি কি বাঘটাকে মারতে পেরেছ ?’
ইতোমধ্যে কিছু উৎসাহী গ্রামবাসী চিৎকার করা শুরু করে দিল, ‘সরদারজি জিন্দাবাদ, সরদারজি জিন্দাবাদ !’
‘চুপ করো ! তোমরা সবাই বিশ্বাসঘাতক ! বেঈমান!’
সে গর্জন করে উঠলো, ‘আগে আমাকে বলো, ওটা কার ষাঁড় ছিল? কার ষাঁড় আজ দড়ি ছিঁড়ে পালিয়েছিল ?’
প্রকাশকালঃ ২৫শে মে, ২০২০
সাম্প্রতিক মন্তব্য