সরকারী কর্মকর্তাদের কথা বলতে পারব না। তবে আমাদের বেসরকারি কর্পোরেট কর্মকর্তাদের মাঝে কয়েক ধরণের লাইফ-স্টাইল আছে । ধরেন, একই বেতনে কাজ করে কয়েকজন সহকর্মী । তাদেরকে মোটা দাগে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রথম প্রকার: বেতনের টাকা দিয়ে চলে। উপরি ইনকাম নেই, কিন্তু ঢাকার শহরে বউ-বাচ্চা আত্মীয়স্বজন নিয়ে স্ট্যাটাস মেইন্টেইন করতে হিমসিম খায়। মূলত: মধ্যবিত্ত, কিন্তু চালচলন ও মানসিকতা উচ্চ মধ্যবিত্তের।
দ্বিতীয় প্রকার: বেতনের বাইরে ইনকাম নেই, সামাজিক স্ট্যাটাসের দিকে তেমন নজর নেই। মধ্যবিত্তের অনিশ্চয়তা আর নিরাপত্তা হীনতায় ভোগা শ্রেণী। যা বেতন পায়, তার সিংহভাগ ব্যয় করে সন্তানদের শিক্ষায়, বাকিটা সঞ্চয় করে ভবিষ্যতের জন্য। এরা জেনুইন মধ্যবিত্ত মানসিকতার এবং এই মানসিকতা থেকে উত্তরিত হতে পারে না।
তৃতীয় প্রকার: বেতনের টাকার বাইরে নানাধরনের উপরি ইনকাম আছে ; গাড়ীর মডেল , ফ্ল্যাটের সাইজ দেখলে টের পাওয়া যায়। ধর্মকর্মে খুব আত্মনিবেদিত। দেশের বাইরে সেকেন্ড হোম আছে বা করার চিন্তা করে। পরিস্থিতি এদিক সেদিক হলে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার সক্ষমতা আছে। উচ্চবিত্ত মানসিকতার, জীবন উপভোগ করে। এতকিছু থাকা স্বত্বেও নানা ধরণের ফালতু অনিশ্চয়তায় ভোগে।
চতুর্থ প্রকার: বেতনের টাকার বাইরে প্রচুর ইনকাম আছে, কিন্তু দেখাতে চায় না বা পারে না, সমাজের নজরে পড়ে যাবে বলে। নামে বেনামে সম্পত্তি করে, অসংখ্য এফডিআর করে। জীবন উপভোগের সবকিছু থাকতেও নিজেদেরকে বঞ্চিত করে চলে। নিম্নবিত্ত মানসিকতার যদিও অর্থনৈতিকভাবে উচ্চবিত্ত।
পঞ্চম প্রকার: আপনার কাছে কি মনে হয় ? কোন শ্রেণীকে আমি মিস করেছি ?
প্রকাশকালঃ২৮শে নভেম্বর,২০১৯
সাম্প্রতিক মন্তব্য