পদাধিকারবলে আমাকে সারাদিন নানা ক্যাটাগরীর লোকের সঙ্গে কথা বলতে হয়। বিলিওনার থেকে শুরু করে ড্রাইভার-দারোয়ান, অফিসবয় ইত্যাদি। কর্পোরেট সফল ব্যক্তিদের ব্যাপারে আমার নতুন করে কিছু বলার নেই। তাঁরা একেকজন নিজেই সাফল্যের সংজ্ঞা ও প্রতিভূ হয়ে প্রাতঃস্মরনীয় । কিন্তু যারা অসফল, ব্যর্থ তাদের ব্যাপারে আমার একটা অদ্ভুত অব্জার্ভেশন আছে।এটা অব্জার্ভেশন-এর পর্যায়ে পড়ে কীনা কে জানে।প্রতিনিয়ত একই পুনরাবৃত্তিকে– কী বলা উচিৎ ।
আমি খেয়াল করে দেখেছি , যারা সাময়িক বা দীর্ঘমেয়াদী ব্যর্থতার ভিতর দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের শরীরে দুর্গন্ধ বা বাজে গন্ধ থাকে। মুলতঃ নিজের শরীর,পোশাক,নাওয়া খাওয়ার অপর্যাপ্ততার কারণেই সেটা হয়ে থাকতে পারে। হতে পারে নিজের অজ্ঞাতেই ব্যর্থ লোকটি নিজেকে ব্যর্থতার একটা আচ্ছাদনে মুড়িয়ে ঢেকে চলাফেরা করেন; সহানুভূতির আশায় । কিন্তু এই ব্যাপারটা তার জন্য যে আরো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেটা সে বুঝতে পারে না । একজন অপরিচ্ছন্ন , এলোমেলো লোকের উপর চাকরিদাতা ভদ্রলোক ভরসা করবেন কেমন করে ? সুতরাং তার ব্যর্থতার সঙ্গে আরেকটি দিন যুক্ত হয়।
ট্রেডের এক বড়োভাইয়ের কাছে শেখা। সঙ্গত কারণেই নাম প্রকাশ থেকে বিরত থাকছি। মুলতঃ কর্মজীবনের হঠাৎ প্রেসার, নিরানন্দ, একঘেঁয়েমি আমাদের অনেকের পোশাক-পরিচ্ছদে, চালচলনের উপরে প্রভাব ফেলে। তো, আমার ও সেটা আছে। কিন্তু বছরখানেক আগে তার উপদেশ শুনে অভ্যাস বদলে ফেলেছি। আমার দিনটা ভালো যাবে নাকি খারাপ যাবে ; আজ আমার ছুটির দিন না অফিসের দিন তাও ধর্তব্য না। প্রতিদিন ভোরে উঠে আমার প্রথম কাজ হয় প্রাতঃকৃত্য সেরে দাঁড়ি কামিয়ে সুগন্ধি মেখে ফিটফাট থাকা। এতে করে আমার প্রাক্তন ও দৈনন্দিন ব্যর্থতা অনেকখানি চাপা পড়ে থাকে !
[ প্রকাশকালঃ ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ]
সাম্প্রতিক মন্তব্য