ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম-এর সেই বিখ্যাত উক্তি বহুশ্রুত ও সবার জানা। “ Love your job, but don’t love your company , because you may not know when your company stops loving you.”

অনেকেই ব্যাপারটাকে নেগেটিভলি ব্যবহার করেন ; এতে করে মালিক-কর্মচারী দূরত্ব বেড়ে যায়। আমি যেহেতু আশাবাদী লোক, তাই আশার কথা বলি। মূলত: এই ব্যাপারটিকে যে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা যায় , সেটা বছর পনের আগে আমার প্রতিষ্ঠানের সিইও এক ঘরোয়া মিটিং-এ আমাদের কয়েকজনকে বলেছিলেন। উনি এখন আর আমাদের দৈনন্দিন ব্যবসায় জড়িত নন। ভাল লেগেছিল, তাই মনে আছে।

আসলে আপনি যেখানে কাজ করছেন সেই কাজকে এনজয় করার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আনুগত্য এবং ‘Good-feeling’ থাকতে হবে। পরিবারের সঙ্গে আপনার কথোপকথন সকালে ঘণ্টাখানেক আর রাতে বাড়ী ফিরে সর্বোচ্চ ঘণ্টাদুয়েক। অথচ খেয়াল করে দেখেন, জাগ্রত আপনাকে পরিবারের চেয়ে আপনার কর্মস্থলে তিনগুণ বেশী সময় দিতে হচ্ছে ! আবার, নিজের সম্পূর্ণটা দিতে না পারলে কী করে বুঝবেন আপনার সঠিক সম্ভাবনা কতখানি বা আপনার পক্ষে কতদূর যাওয়া সম্ভব ! নিজের কর্মদক্ষতা বাড়লে আপনার সুনাম যেমন বাড়বে, প্রতিষ্ঠানেও আপনার অবস্থান শক্ত হবে। একই সঙ্গে মার্কেটেও আপনি পরিচিত হয়ে উঠবেন।

একজন মালিক হিসাবে তিনি আমাদেরকে তাঁর কোম্পানির জন্য শতভাগ দিতে বলেছিলেন ; একইসঙ্গে আমাদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন মার্কেটে নিজের একটা স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করতে। নিজের নেটওয়ার্কিং স্কিল, কমিটমেন্ট, পাবলিক রিলেশন, সততা, দক্ষতা দিয়ে নিজের একটা ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি করা আবশ্যক ! আমি অনেকসময় দেখেছি , কিছু দক্ষ কর্মকর্তা ও ম্যানেজার পরিশ্রম দিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠানের চেয়েও নিজের নামকে বড় করে ফেলেছেন। একসময় দেখা যায় , মার্কেটে তাঁর নামেই প্রতিষ্ঠানকে চেনে সবাই। বলেন , অমুক সাহেবের তমুক প্রতিষ্ঠান।

জানি সবাই উচ্চাকাঙ্ক্ষী হবে না । কিন্তু এই লেখা তেমন কারো চোখে পড়লে, সে নিশ্চয় চেষ্টা করবে এবং সফলও হবে ! আশা করতে দোষ কী !

[ প্রকাশকালঃ ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ]