ঋতু-বৈচিত্র্য, বৈরী আবহাওয়া, ভূ-প্রাকৃতিক কারণে প্রকৃতির অসহনীয় আচরণ, অথবা নিয়ন্ত্রণের বাইরের উদ্ভূত কোন পরিস্থিতির টেনশন নিজের ঘাড়ে টেনে নেবেন না। প্রতিদিন ঘটে যাওয়া নানা ধরণের প্রতিকুল ঘটনাসমূহ আমাদের নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা নেই ! ঢাকার ট্র্যাফিক, দেশের সরকার, রাষ্ট্রের
আচরণ, গ্রীষ্মের দুঃসহ গরম, প্রযুক্তির অপব্যবহার, অন্যদেশের ভূ-রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের দুরবস্থা, ইত্যাদি, ইত্যাদি, ইত্যাদি । এই রকম অসংখ্য ইস্যু আছে, যা ধীরে ধীরে সহনীয় হয়; ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যায়। এগুলো নিয়ে অবশ্যই চিন্তা করতে পারেন ; দুশ্চিন্তা না। গাড়ীতে বসে আছেন, চারপাশের বিশৃঙ্খলা দেখে লেগে গেলেন দেশের গুষ্ঠি উদ্ধার করতে। রক্তচাপ বেড়ে গেল।

ছোটখাটো আরও কিছু ব্যাপার আছে, যেগুলো ইচ্ছে করলেই আপনি তাচ্ছিল্য করতে পারেন, এড়িয়ে যেতে পারেন। খাবার খেতে বসেছেন, বাথরুমে যাচ্ছেন, অসময়ে ফোন বাজছে তো বাজছেই। আপনার টেনশন বেড়ে গেল। এসব ক্ষেত্রে সময় নিন, ধীরেসুস্থে ফোন অ্যাটেন্ড করুন। যিনি আপনাকে খুঁজছেন তিনি বুঝমান হলে বুঝবেন আপনার ফোন দেরি করে ধরার কারণ। আর সেটা না বুঝেই কেউ যদি ফোন করতেই থাকেন, সেটা তাঁর সমস্যা।

আসলে, আমরা যারা ইতোমধ্যে উচ্চ রক্তচাপের রোগী হয়ে গেছি, তাঁদের ও যারা এখনো হননি, দয়া করে অনর্থক টেনশন করে উচ্চ রক্তচাপের রোগী হবেন না।