সামাজিক ও জীবিকার শত সীমাবদ্ধতার মাঝেও মানুষের একটি ইন্টেলেকচুয়াল, বুদ্ধিবৃত্তিক জীবনাচরণ থাকা দরকার। জীবনের নানা পর্যায়ে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের মুখোমুখি হয়েছি আমরা। শৈশব থেকে শুরু করে এই পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই বয়সেও আমাদের সঙ্গে নানা আলোচনা হয়। স্যার আমাদের (তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের ) অনেকের সীমাবদ্ধতা বোঝেন। সামাজিক চাপে , জীবিকার কাছে আমাদের নতিস্বীকারের দুর্বোধ্য বেদনাও বোঝেন। তারপরেও তিনি আমাদের সবসময় বলতেন, যে জীবিকাতেই আমরা থাকি না কেন , আমাদের একটা বুদ্ধিবৃত্তিক, সংবেদনশীল জীবন থাকা দরকার ; সম্পন্ন জীবনবোধ থাকা দরকার। কেউ যদি দিনের পর দিন কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকে, তাহলে ধীরে ধীরে তার মন শুকিয়ে যায়।

স্যার বুদ্ধিবৃত্তিক জীবনের প্রতি আমাদের আকাঙ্ক্ষিত, উদ্বুদ্ধ করেছেন সারাজীবন। ব্যস্ত, ঊর্ধ্বশ্বাস এই জীবনের ফাঁকে ফাঁকে তিনি আমাদেরকে প্রকৃতির কাছে ফিরে যেতে বলতেন। মানুষ প্রকৃতির কোল থেকে উঠে এসেছে। আমাদের আদি ও অকৃত্রিম প্রবণতা হচ্ছে আবার প্রকৃতির কাছে ফিরে যাওয়া স্বস্তি-বোধ করা। এবং আমরা প্রকৃতির কাছে গেলেই সবচেয়ে সজীব, প্রাণবন্ত ,উৎফুল্ল হয়ে উঠি।